করোনা-পরবর্তী দুর্বলতা কাটাতে যা করবেন

অনেকের মতেই ওমিক্রন সংক্রমণের উপসর্গ মৃদু। এখন কোভিডের সময় আইসোলেশনে থাকার সময়সীমাও কমিয়ে দশ দিন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে অনেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ হচ্ছেন না। জ্বর চলে গেলেও সারা শরীরে ব্যথা ও ক্লান্তি থেকে যাচ্ছে অনেকের।

এই ক্লান্তি কাটানো খুব একটা সহজ নয়। বাকি উপসর্গ চলে গেলেও অনেকেরই অল্প হলেও ক্লান্তিবোধ থেকে যাচ্ছে বহু দিন পর্যন্ত। কী করে সামাল দেওয়া যায় এই পরিস্থিতির সেই প্রশ্ন অনেকেরই। কিছু নিয়ম মেনে চললে খানিকটা স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

হালকা ব্যায়াম

অনেকেরই ঘরে কাজ করতে বা অল্প চলাফেরা করতেও ক্লান্তি আসছে। কিন্তু একদম সুস্থ হয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হালকা ব্যায়াম করা। ধীরে ধীরে হাঁটা, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত-পা ঘোরানো, চেয়ার বসে পায়ের ব্যায়াম করা, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এগুলি সবই খুব জরুরি। ঘরে বসেই করতে পারেন এই ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ গুলো।

রোদে বসা

প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে বসতে হবে। শীতকালে এমনিও রোদে বসলে শরীর অনেকটা চাঙ্গা লাগে।

ড্রাই ফ্রুটস

একটি খেজুর, বেশ কয়েকটা কিশমিশ, ২-৩টি কাঠবাদাম, ২টি আখরোঠ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরে সকালে খেতে পারেন। আবার যখন ক্লান্ত লাগবে, তখনও অল্প অল্প করে খেতে পারেন। শরীরে স্ফূর্তি জোগাবে এই খাবার।

হালকা খাবার

ডালের পানি, সিদ্ধ ভাত, কম তেল-মশলা দিয়ে করা তরকারি, পাতলা মাছের ঝোলের মতো খাবার খান যাতে হজম করতে সুবিধা হয়। প্রসেস করা খাবার বা বেশি চিনি এই সময় একদম খাবেন না। এগুলি হজম করতে অনেক বেশি সময় লাগে এবং এতে শরীরে এনার্জিও কম তৈরি হয়।

খিচুড়ি-স্যুপ

নানা রকম পুষ্টিকর ডালের খিচুড়ি খান একদিন পর পর। খিচুড়ি তৈরি করার সময় কিছু মরসুমি সবজিও দিয়ে দেবেন সাথে। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন পুষ্টিকর স্যুপ খাওয়ার চেষ্টা করুন। মরসুমি শাক-সবজি দিয়ে স্যুপ বানালে বেশি উপকার পাবেন। খাওয়ার এক ঘণ্টা পর এমন চা বা পানীয় খান যা আপনার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

ঘুম

বিশ্রাম করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তাই খেয়াল রাখবেন রাতে যেন একটানা অনেকক্ষণ ঘুম হয়। নিজের শরীর বোঝার চেষ্টা করুন। জেগে থাকার চেষ্টা করবেন না, রাতে যত আগে সম্ভব ঘুমিয়ে পড়ুন। যত বেশি বিশ্রাম নেবেন, তত তাড়াতাড়ি ক্লান্তি দূর হবে।